তীর্থক্ষেত্রে পন্ডিতজি – রামেশ্বরম

676

তীর্থ যাত্রার অভিজ্ঞতা বিশেষ করে দক্ষিন ভারত ভ্রমণ পর্ব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি আলাদা করে রামেশ্বরমের কথা না বলি|ভৌগোলিক ভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় শহর রামেশ্বরম যেখানে রয়েছে বহু পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন যার আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য অপরিসীম|কথিত আছে সীতা উদ্ধারের পরে লঙ্কা থেকে ফিরে রামেশ্বরমে শিবের আরাধনা করেন রামচন্দ্র। রাবণকে বধ করে তিনি যে ব্রহ্মহত্যা করেছিলেন,সেই পাপ ধুয়ে যায় এই স্থানে|

রামেশ্বরম এ রয়েছে রামানাথস্বামী মন্দির যেখানে রয়েছে দুটি শিব লিঙ্গ|একটি রামের অনুরোধে ভগবান হনুমানের কাছ থেকে হিমালয় থেকে আনা হয়েছিল, এবং অন্যটি সীতা দ্বারা বালি থেকে তৈরি হয়েছিল|রামেশ্বরমে রয়েছে রাম সেতু যাকে রামায়নের সময়ে ভগবান রামের নির্মিত সেতুর অবশিষ্টাংশ বলে মনে করে। এমনকি 1480 সালে একটি ঘূর্ণিঝড় দ্বারা এটি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত সেতুতে হাঁটা সম্ভব ছিল নাসার উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পরে এই অদ্ভুত সেতু|শুধু আধ্যাত্বিক নিদর্শন নয় রয়েছে প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্য যা আপনি প্রাণ ভরে উপভোগ করতে পারেন|ধনুশকোডির কাছে আরিচামুনাই পাখি অভয়ারণ্য যেখানে শীত কালে উড়ে আসে ঝাঁক ঝাঁক পরিযায়ী পাখি|সাক্কারাকোট্টাই পাখি অভয়ারণ্য, মূল ভূখণ্ডের রামেশ্বরম থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে যেখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক পাখি ও বন্য প্রাণের|রামেশ্বরমে রয়েছে ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি, A.P.J. এর শৈশবের বাড়ি যা বর্তমানে একটি সংগ্রহ শালায় পরিণত হয়েছে|রামেশ্বরম এক অদ্ভুত অনুভূতি জাগিয়ে তোলে প্রতিটি পর্যটকের মনে|এখানে পুরান, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস ও প্রকৃতির অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটে যা বহুকাল মনে থেকে যায়|স্মরণীয় হয়ে আছে আমার রামেশ্বরম ভ্রমণ|আবার ফিরে আসবো অন্য তীর্থ ক্ষেত্র নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|