পুরান মতে জগৎ সংসারের সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা কিন্তু এখানে প্রশ্ন ওঠে ব্রহ্মার সৃষ্টি তবে কিভাবে হলো আসলে প্রাণ ও জগতের সৃজনের জন্য ব্রহ্মার সৃষ্টি হয়েছে বিষ্ণুর ইচ্ছায়|বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে ব্রহ্মার উৎপত্তি বা জন্ম। একদিন ব্রহ্মা অহংকার বশতঃ মনে করলেন ‘আমিই সবকিছু করেছি। আমিই সমগ্র মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা। আমিই ব্রহ্মান্ডের মালিক।’তারপর কিভাবে তার ভুল ভাঙলো সেই নিয়েও পুরানে ব্যাখ্যা আছে|শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণিত আছে দ্বারকাতে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীব্রহ্মাকে আহ্বান করলেন। ব্রহ্মা এসে পৌছালে কৃষ্ণের দ্বারপালগণ জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কোন ব্রহ্মা।’ ব্রহ্মা তখন বিস্মিত হয়ে বললেন, চতুর্মুখ ব্রহ্মা। তারপর সভাকক্ষে প্রবেশ করে দেখলেন বহু বহু ব্রহ্মান্ড থেকে আগত অসংখ্য ব্রহ্মা সেখানে নতজানু হয়ে শ্রীকৃষ্ণকে প্রণতি নিবেদন করছেন। ব্রহ্মার অহংকার চলে যায়|বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পূজা পৃথিবীতে সেভাবে প্রচলন নেই বললেই চলে।তাই ব্রহ্মার মন্দিরের সংখ্যাও খুবই সীমিত।কিন্তু এইসব মন্দিরের মধ্যে একটি হল রাজস্থানের পুষ্কর হ্রদের পাশেই অবস্থিত।কিন্তু প্রজাপতি ব্রহ্মার এই মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ | পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী বলা হয় যে দেবী সরস্বতী দ্বারা অভিশপ্ত এই মন্দিরে কোনো বিবাহিত পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ।বলা হয় যে এখানে পৌরাণিক কালে পুষ্কর জলাশয়ের তীরে যজ্ঞ করছিলেন আয়োজন করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা।এই যজ্ঞ সময় ব্রহ্মাদেবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী সরস্বতী সময় মতো উপস্থিত না হতে পারায় ব্রহ্মা দেবী গায়ত্রীকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করে যজ্ঞে বসে যজ্ঞ সম্পূর্ণ করেন। এটি দেখে দেবী সরস্বতী ক্রুদ্ধ হয়ে যান এবং তখন দেবী সরস্বতী শাপ দেন যে মন্দিরে কোনো বিবাহিত পুরুষ প্রবেশ করলে, তার বিবাহিত জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।আর এই থেকেই এই মন্দিরে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ|চলতে থাকবে পুরান কথা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|