কালীতীর্থ – শেকলে বাঁধা কালী

821

আজ একটি অদ্ভুত কালী মন্দিরের কথ লিখবো এই কালী তীর্থ অনুষ্ঠানে যা মুর্শিদাবাদের লাল গোলার প্রসিদ্ধ শিকলে বাঁধা কালী বা শৃঙ্খলিত কালী নামে প্রসিদ্ধ|মুর্শিদাবাদের লালগোলার শ্রীমন্তপুরের এই কালী মন্দির অবস্থিত|সালটা 1790, স্বপ্নাদেশে তৎকালীন লালগোলার রাজা রামশঙ্কর রায় নির্দেশ পান,এই রাজ পরিবারের দ্বারা অধিষ্ঠিত হয়েই কালীমন্দির পূজিত হবেন দেবী। সেইমতো এই কালীমন্দিরের পিছন দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার শাখা নদীতে হটাৎই একটি দেবীর কাঠামো ভাসতে দেখা যায়। পরে এতেই মাটি লাগিয়ে দেবীর প্রায় ৪ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরি করা হয়।অদ্ভুত ভাবে এই মন্দিরে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা আছেন মা। যেই কারণে ‘শৃঙ্খলিতা কালী’ নামে ডাকা হয় দেবীকে কিন্তু কেনো এই শৃঙ্খল? তার পেছনেও রয়েছে কয়েকটি অদ্ভুত জনশ্রুতি|শোনা যায় পদ্মা থেকেই স্বপ্নাদেশে ভেসে আসা দেবী আবার সেই পথ ধরেই পদ্মাতেই ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ,আর তার ফিরে যাওয়া আটকাতে এই শেকলের ব্যবহার|তবে মা কালীর এই শৃঙ্খলিত রূপ বাংলার আরো এক স্থানে দেখা যায়, বাঁকুড়ার সোনামুখির ধর্মতলার রায় পরিবারের খেপা কালী মন্দিরেও মা কালী কে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে বহু কাল ধরে|কথিত আছে মন্দিরে কালী প্রতিমা নাকি মন্দির থেকে পালিয়ে ‌যান। আগেরকার দিনে অনেক সময় দেখা গেছে রাতে পুজো শেষে মন্দিরে আর মূর্তির দেখা মেলেনি। অনেকবার রাতে পায়ের নুপুরের শব্দও শোনা গেছে। পরে মন্দিরে ‘খেপা কালী’কে আটকে রাখতে প্রতিমার পায়ের শিকল বাঁধার ব্যবস্থা করা হয় এবং এই প্রথা এখানে আজও বজায় আছে|কতইনা না রহস্য, দেবী কে ঘিরে,কতইনা অলৌকিক ঘটনা, আবার লিখবো অন্য কোনো কালী ক্তীর্থ নিয়ে, অন্য কোনো পর্বে|দেখতে থাকুন|