বাঁকুড়ার সোনামুখী তে রয়েছে এক অদ্ভুত নামের কালী মন্দির এবং তার সাথে জড়িত জশ্রুতিটিও বেশ অলৌকিক|হট্নগর’ কালীর নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন লোককথা প্রচলিত। কেউ বলেন, হট্ নামে এক যোগী পুরুষ এই কালীর পুজো করতেন বলে এ রকম নামকরণ। আবার অনেকে বলেন, মা কালী হঠাৎ এসেছিলেন। তাই ‘হট্ নগর’ কালী নামকরণ হয়েছে।
কথিত আছে, গ্রামের পথে চিঁড়ে বিক্রি করে ফেরার পথে একটি শ্যামাঙ্গী মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় সোনামুখীর তারিণী সূত্রধরের বাচ্ছা মেয়েটি তার ঝুঁরিতে চেপে বসে পরে বাড়িতে এসে তারিণী দেবী দেখেন ওই মায়ের জায়গায় দুটি পাথর রয়েছে, পরবর্তীতে তিনি সপ্নাদেশ পান যে ওই মেয়ে মা কালী এবং মন্দির নির্মাণ হয় স্থানীয় জমিদারের সহায়তায়|
চারশো বছরের পুরোনো এই মন্দিরের গঠনশৈলী অদ্ভুত। মন্দিরের সামনে রাখা রয়েছে তারিণী সূত্রধরের একটি মূর্তি। সেখানে দেখা যায়, মাথায় ধানের ঝুড়িতে চেপে মা আসছেন। অন্য দিকে সিদ্ধপুরুষ হট্ যোগীর মূর্তি। সবার উপরে শিব।যদিও বহুবার সংস্কার হয়েছে মন্দিরের তবে সেই দৈব পাথর আজও সংরক্ষিত আছে মন্দিরে|মন্দিরে ঘট রেখে পুজো করা হয়। পরে বছর বাৎসরিক পুজোর সময় সেই ঘট বিসর্জন দিয়ে নতুন ঘট আনা হয়।
প্রত্যেক দিনই ভক্তদের ভিড় লাগে থাকে হট নগর কালী মন্দিরে এবং বিশেষ বিশেষ তিথিতে হয় বিশেষ পুজো|আজ বাংলার কালী এই খানেই শেষ করছি|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|