মন্দির রহস্য – বীরভূমের প্রাচীন লক্ষী মন্দির

937

মন্দির রহস্য সিরিজে বহু প্রাচীন কালী মন্দির, হনুমান মন্দির এবং শিব মন্দিরের কথা লিখেছি|আজ এক প্রাচীন লক্ষী মন্দিরের কথা লিখবো যা অবস্থিত বীরভূমের এক প্রাচীন গ্রামে|এই মন্দির ঘিরে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা ও প্রচলিত কিংবদন্তী|শুরুতেই মন্দির নির্মাণের সাথে জড়িত অলৌকিক এক ঘটনার কথা বলি,প্রায় পাঁচশো বছর আগে বীরভূমে এই গ্রামে আসেন পূর্ববঙ্গের এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী কামদেব ব্রহ্মচারী। এই গ্রামের একটি নিমগাছের তলায় সাধনস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে থাকতে শুরু করেন। কিছুদিনে পর এক গ্রামবাসী দীঘির ধারে জমিতে চাষ করছিলেন সে হটাৎ দেখতে পায়,দীঘির জলে একটি পদ্মফুল ভেসে যাচ্ছে।পদ্মফুল তুলতে নেমে পড়েন দীঘিতে ফুটে থাকা পদ্মফুল দেখতে পেলেও নাগাল পান না কিছুতেই।সেই রাতে মা লক্ষ্মীর স্বপ্নাদেশ পান ওই গ্রামবাসী, ওই দীঘির জলেই নিরাকার রূপে দেবী লক্ষী অবস্থান করছেন। পর দিনই দীঘিতে নিম কাঠ ভাসতে দেখেন তুমি । সেই কাঠ তুলে এনে দেবীর নির্দেশ মতো গ্রামের নিম গাছতলায় আসন পাতা কামদেব ব্রহ্মচারীর কাছে নিয়ে যান এবং সাধক ওই নিম কাঠ থেকে লক্ষ্মীমূর্তি গড়ে তোলেন। সেই দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় গ্রামেই।আজও ওই মূর্তি পূজিত হয় এখানে|দেবী লক্ষীর বাস এখানে । কিংবদন্তী বলে,তাই ঘোষ গ্রামে এক সময় ধান নয়, সরাসরি চাল ফলত। দীর্ঘদিন দেবীর হাতে তাই চালের শিষ শোভা পেত।এবিং লক্ষীর বাসস্থান এই গ্রাম, তবে অদ্ভুত ভাবে কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে এখানে কোনও বাড়িতে শাঁখ বাজে না। কেউ নিজের বাড়িতে লক্ষ্মীর ঝাঁপিও রাখেন না। কারণ বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করা নিষিদ্ধ এই গ্রামে কারন তার কারণ এখানে প্রাচীন এই সর্বজনীন লক্ষ্মী মন্দিরে ১২ মাস পূজিতা দেবী।কয়েক শো বছর ধরে এমনই প্রথা চলে আসছে এখানে।জানাবেন কিরকম লাগলো আজকের এই উপস্থাপনা |পড়তে থাকুন এবং যেকোনো জ্যোতিষ ও তন্ত্র সংক্রান্ত পরামর্শ ও সমস্যার সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন |ভালো থাকুন|ধন্যবাদ |