প্রথম পর্বে তন্ত্রের সহজ ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি, আজ জানাবো তন্ত্রে আরাধ্যা দেবী বা দেবতা কে বা কারা|বাংলায় তন্ত্রে সাধনায় প্রকৃতি কে ‘চৈতন্যময়ী’ বলে মনে করে দেবীরূপে ভজনা করা বিবর্তিত হয়েছিল। এবং এই নারীকেন্দ্রিক তান্ত্রিক ধারণাটি পল্লবিত হয়েছিল সারা দেশ জুড়ে বিশেষত পূর্ব ভারতে|চৈতন্যময়ী প্রকৃতিরূপী নারীবাদী তন্ত্রের দেবী দূর্গা-কালী- বাসুলী – তারা- শিবানী। কিন্তু তন্ত্রের কেন্দ্রে রয়েছেন শিব। তন্ত্রমতে শিব তাঁর শক্তি পেয়েছে কালীর কাছ থেকে। আবার শিব- এর রয়েছে পৃথক নিজস্ব শক্তি। তন্ত্রমতে পুরুষ শক্তিলাভ করে নারীশক্তি থেকে। শিব শক্তি লাভ করেছেন তাঁর নারীশক্তির প্রকাশ- গৌড়ীর শক্তি থেকে। তবে শিবের নিজস্ব শক্তিও স্বীকৃত। তন্ত্রসাধনার মূল উদ্দেশ্যই হল-শক্তি দেবীর সাধনা করে “শিবত্ব” লাভ তথা শক্তিমান হওয়া।আবার মহাদেব বা শিবের ডমরু থেকে তন্ত্রের উৎপত্তি । সতী বা দেবি দূর্গার দশ হাতে আছেন দশ মহাবিদ্যা । এই দশমহাবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই অনেকটা তন্তশাস্ত্র গড়ে উঠেছে ।অর্থাৎ তন্ত্রের দেবী বা আরাধ্য দেবতা এক নয় এবং নিদ্দিষ্ট কোনো পন্থা নেই|বহু মত, বহু পদ্ধতি ও তেমনই ভিন্ন ভিন্ন শক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় তন্ত্র সাধনা|আগামী পর্বে সেসব নিয়ে আলোচনা করবো|আর দৈনন্দিন জীবনে প্রতিকার রূপে তন্ত্রের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|