পুরান রহস্য – বৃহস্পতির অভিশাপ

566

সম্প্রতি বৃহস্পতির সঞ্চার হয়েছে গ্রহরাজা শনির ঘরে, এই সঞ্চার নানা দিক দিয়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, প্রায় প্রতিটি রাশির জাতক জাতিকার জীবনেই এই সঞ্চার প্রভাব ফেলবে, সেই প্রভাব নিয়ে ইতিমধ্যে টিভি ও ইউটিউব এর অনুষ্ঠানে আলোচনা করেছি আজ আলোচনা করবো বৃহস্পতি সংক্রান্ত কিছু পৌরাণিক বিষয় নিয়ে, জানাবো একটি বিশেষ ঘটনা|

বৃহস্পতি ছিলেন দেব গুরু, সর্বশ্রেষ্ঠ পন্ডিত দের অন্যতম, খুব স্বাভাবিকভাবেই ইন্দ্র- স্বর্গের রাজা তাঁকে তার প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। বৃহস্পতির একজন স্ত্রী ছিলেন, তার নাম ছিল তারা। বৃহস্পতি বলতে যেমন ওই নামের গ্রহকে বোঝায় তেমনই তারা মানে নক্ষত্র|তারা একদিন পূর্ণ চন্দ্রের দিকে তাকালেন এবং চাঁদের দেবতার প্রেমে পড়ে গেলেন। চন্দ্র নিজে পৃথিবীতে নেমে এলেন এবং দুজনে গভীর ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হলেন|

স্বাভাবিক ভাবেই বৃহস্পতি এই ঘটনায় ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন এবং তিনি ইন্দ্রকে বললেন, “আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। আপনাকে তাকে ফেরত এনে দিতে হবে, অন্যথায় আমি আপনার ধর্মানুষ্ঠান পরিচালনা করবো না।” ইন্দ্র হস্তক্ষেপ করলেন এবং তারাকে ফিরতে বাধ্য করলেন কিন্তু তখন গর্ভবতী ছিলেন তারা,কিছুদিন পরেই বৃহস্পতি জানতে পারলেন এই সন্তান তার নয়, তার স্ত্রী ও চন্দ্রর সন্তান তখন তিনি সেই শিশুটিকে অভিশাপ দিলেন এই বলে যে, “তুমি যেন একজন নপুংসক হও – না নারী, না পুরুষ।” সেই সন্তান ই নবগ্রহের অন্যতম গ্রহ বুধ বা বুধের অধিষ্টিত দেবতা|

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বুধের কারকতা, তার বৈশিষ্ট ও চরিত্রর মধ্যে আজও সুস্পষ্ট রয়েছে বৃহস্পতির সেই অভিশাপ|যাই হোক এই ছিলো পৌরাণিক ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা|গ্রহ গত সমস্যা ও তার জ্যোতিষ কেন্দ্রীক সমাধান পেতে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|