শাস্ত্র মতে মা দুর্গা মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পর আবার মর্ত্যে ফেরেন দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে।কিন্তু এই দেবীর উৎপত্তি ও তার পুজোর কারন নিয়ে একটি পৌরাণিক ব্যাখ্যাও আছে|আজকের পর্বে জানাবো সেই পুরান রহস্য|পুরান মতে মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার পর দেবতারা আবার নিজেদের পুরানো গর্বে অভিভূত অবতারে ফিরে যান। নিজেদের ক্ষমতার অহংয়ে তারা আবার অন্ধ হয়ে পড়েন। যেন তাঁরাই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, তাঁরা ছাড়া আর কারও কোনও শক্তিই নেই আর কী!দেবতাদের এই অহংকার দেখে ভারী ক্রুদ্ধ হয়ে যান ব্রহ্মা। তিনি যক্ষরূপ ধারণ করে দেবতাদের একে একে ডেকে পাঠান। একটি সামান্য ঘাসকে রেখে তিনি পবনদেবকে বলেন তা নিজ ক্ষমতায় সরিয়ে দেখাতে। পবনদেব হাজারো চেষ্টার পরেও বিফল হন। এরপর বরুনদেবকে ডেকে পাঠানো হয় এবং বলা হয় ঘাসটিকে ভিজিয়ে দেখাতে। তিনিও অসফল হন। তারপরে ডাক পরে অগ্নিদেব, তিনিও ঘাসটিকে জ্বালাতে সক্ষম হন না।এই ভাবে দেবতাদের অহংকার চূর্ণ হয়|প্রত্যেকে অসফল হওয়ার পর নিজরূপে হাজির হন ব্রহ্মা। এবং তিনি দেবতাদের বোঝান যে সবার ওপরে ব্রহ্মাই সত্যি। তাহার ওপর কেহ না। তিনি আরও বলেন, দেবতাই হোক কিংবা মানব অথবা দৈত্য, এই জগতে সবচেয়ে বড় একটি অসুরের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই করতে হবে আর সেটি হল তাঁদের মানসিক অহংয়ের অসুর।করিন্দ্রাসুর আসলে এই অহং বোধের প্রতিফলন|আর এই অসুরকে বধ করতেই পরম ব্রহ্ম যে দেবীর রূপ নেন, তিনিই জগদ্ধাত্রী। আপনাদের সবাইকে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিজয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|আবার অনলাইনে ও চেম্বারে নিয়মিত জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকার নির্ধারনের কাজে মনোনিবেশ করেছি|প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|