শক্তি পীঠ – করবীর
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
পীঠ নির্ণয় তন্ত্র মতে সিন্ধু প্রদেশের শর্করা জেলার করবীরে দেবীর তৃতীয় নয়ন পড়েছিল। দেবীর এখানে মহিষ মর্দিনী রূপে পূজিতা হন। দেবীর ভৈরব ক্রোধীশ।
বর্তমানে করবীর ঠিক কোথায় তা স্পষ্ট নয় তাই এই শক্তি পীঠের সঠিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে। কালীকা পুরান মতে এই করবীর ব্রহ্মবর্ত অর্থাৎ বর্তমান পাঞ্জাব অঞ্চল। আবার অন্য একটি মত অনুসারে এই শক্তি পীঠ মহারাষ্ট্রের কোলা পুরে অবস্থিত।
পাঞ্জাবে দেবী রম ভুজার মূর্তি আছে। প্রাচীন মূর্তি আছে। এবং তিনটি নয়ন রূপে দেবীর অস্থিত উপস্থিত। দেবীর এই ত্রি নয়ন দিব্য জ্ঞানের প্রতীক এবং দেবী দিব্য দৃষ্টিতে সকল মনোস্কামনা দেখতে পান এবং তাদের মনোস্কামনা পূর্ন করেন।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে কোলাপুরে রয়েছে প্রাচীন পাথরের মূর্তি। রয়েছে চারটি প্রবেশ দ্বার। পাঁচটি দীপ মালা এবং কোষ্টি পাথরের ত্রি নয়নী মহিষ মর্দিনীর মূর্তি।রুপোর সিংহাসনে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিতা দেবী বিরাজ করছেন।
শোনা যায় আদি শঙ্করাচার্য্য স্বয়ং এই মন্দিরে এসে দেবীর পূজা করেছেন।অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে এই মন্দির এবং চারপাশে আরো অনেক দেব দেবীর মূর্তি রয়েছে।
আশ্বিন মাসে খুব জাঁকজমক সহকারে পুজো হয় এবং ন দিনের উৎসবে বহু ভক্ত অংশ নেন।
শক্তি পীঠের ইতিহাসে এমন উদাহরণ কমই আছে
যেখানে দুটি স্থানকে শক্তি পীঠের মর্যাদা দেয়া হয়। তবে আসল শ্রদ্ধা এবং ভক্তি মানুষের মনে।
দুটি স্থানই স্থান মাহাত্মর জেরে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ফিরে আসবো অন্য একটি শক্তি পীঠের ইতিহাস এবং আধ্যাত্মিক আলোচনা নিয়ে পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
