দেবী লক্ষীর পৌরাণিক এবং শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ দেবী লক্ষীর পুজোর দিন।লক্ষী পুজো উপলক্ষে আজ জানাবো দেবী লক্ষীর পৌরাণিক এবং শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা। জানাবো দেবী লক্ষীর আবির্ভাবএবং তার বিবাহ সম্পর্কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
দুর্বাসা মুনির শাপে স্বর্গ একদা শ্রীহীন বা লক্ষ্মী-ছাড়া হয়ে যায়। তখন বিষ্ণুর পরামর্শে স্বর্গের ঐশ্বর্য ফিরে পাবার জন্য দেবগণ অসুরদের সাথে নিয়ে সমুদ্র-মন্থন শুরু করেন। সেই ক্ষীর-সমুদ্র মন্থনের ফলে উঠে আসল নানা রত্ন, মণি-মাণিক্য, অমৃতসুধা আরও কত কি। এসব ছাড়াও সমুদ্র-মন্থনের ফলে উঠে আসলেন লক্ষ্মী দেবী এবং ঠাই পেলেন বিষ্ণুর বক্ষে।
শাস্ত্র মতে লক্ষী বিষ্ণুর স্ত্রী।স্কন্দ পুরানে নারায়ণ এবং লক্ষীর বিবাহের উল্লেখ আছে।লক্ষ্মী দেবী নারায়ণ বা বিষ্ণুকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করে বহুকাল কঠোর তপস্যা করেন।তখন ইন্দ্রা বিষ্ণুর ছদ্মবেশে লক্ষ্মীর নিকট উপস্থিত হলে লক্ষ্মী দেবী তাকে বিশ্বরূপ দেখাতে বলেন। কারণ লক্ষ্মী দেবী জানতেন যে, একমাত্র বিষ্ণুই বিশ্বরূপ দেখাতে সক্ষম। অবশেষে বিষ্ণু দেবীকে তাঁর বিশ্বরূপ দেখালেন। তারপর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
আবার লৌকিক মতে দেবী লক্ষী শিব দুর্গার সন্তান তাই দেবী দুর্গার সাথে মর্তে আসেন দূর্গা পুজোর সময়ে এবং বিজয়ার পর কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবীর পুজো হয়। দেবী লক্ষী প্রসন্ন হলে অর্থ সম্পদ এবং সমৃদ্ধি লাভ হয়।
পুরান মতে কুবের ধন সম্পদের রক্ষাকর্তা তবে ধন সম্পদ বা ঐশর্য দেয়ার অধিকারিণী লক্ষী স্বয়ং। শাস্ত্র মতে লক্ষীর আশীর্বাদ এবং কৃপায় ধন সম্পদ লাভ হয়।
সবাই শাস্ত্র মতে দেবী লক্ষীর আরাধনা করুন।দেবী লক্ষীর কৃপায় সব অমঙ্গল এবং দারিদ্রতা দুর হবে। সবাইকে জানাই লক্ষী পুজোর শুভেচ্ছা।
ফিরে আসবো পরের পর্বে।আসন্ন কালী পুজো উপলক্ষে শুরু করবো কালী কথা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।