নবরাত্রি – দেবী কুষ্মান্ডা
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
নব রাত্রি উপলক্ষে পূজিতা দেবী দুর্গার চতুর্থ রূপ হলো কুষ্মাণ্ডা রূপ এই রূপে দেবী পূজিতা হন আজ অর্থাৎ নব রাত্রির চতুর্থ রাত্রে।আজকের পর্বে দেবীর এই রূপ নিয়ে লিখবো।জানাবো এই রূপের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা।
দেবীর এই নাম এর যুক্তি সম্মত নিদ্দিষ্ট শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা আছে ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের একত্রিত অর্থ কুৎসিত বা তাপ কে হরণ করেন যিনি। কুষ্মান্ডা রূপে দেবী জগতের সকল দুঃখ কষ্ট বা কিছু আপাত দৃষ্টিতে কুৎসিত সব কিছুকে গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন তাই তার নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’।
মহাপ্রলয়ের পরে যখন সর্বত্র শুধু নিশ্ছিদ্র অন্ধকার ছেয়ে রয়েছে, তখন এই দেবী কুষ্মাণ্ডা নব রূপে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন|
দেবী অষ্টভুজা” নামেও পরিচিতা আবার দেবীকে “কৃষ্ণমাণ্ড” নামেও ডাকা হয়|
দেবী সিংহবাহিনী ও ত্রিনয়নী দেবীর হাতে থাকে সুদর্শনচক্র, ধনুর্বাণ, রক্তপদ্ম, কমণ্ডলু, অমৃত কলস ও জপমালা|
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির বিখ্যাত রয়েছে এবং কাশীতে তিনি দুর্গা রূপেই পূজিতা হন।
তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীখণ্ড তে উল্লেখ রয়েছে, অসি নদীর সঙ্গমস্থলে কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান।
শাস্ত্র মতে দেবীর কুষ্মান্ডা রূপের আরাধনায় বৈভব, সুখ সমৃদ্ধি ও যশ এবং খ্যাতি বাড়ে
বলে মনে করা হয়|মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। তার পূজায় কুষ্মাণ্ড বা কুমড়ো বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
আপনারাও নবরাত্রির এই পবিত্র পবিত্র তিথিতে দেবীকে স্মরণ করে প্রনাম করুন এবং শুদ্ধ দেহ এবং শুদ্ধ চিত্তে মনোস্কামনা জানান। আপনার মনোস্কামনা দেবীর আশীর্বাদে পূর্ন হবে।
ফিরেআসবো আগামী পর্বে দেবীর পরবর্তী রুপ নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনায়।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
