নবরাত্রি – দেবী চন্দ্র ঘন্টা

54

নবরাত্রি – দেবী চন্দ্র ঘন্টা

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

নব রাত্রি উপলক্ষে দেবীর প্রথম ও দ্বিতীয় রুপ নিয়ে আগে লিখেছি আজ দেবীর তৃতীয় রুপ

নিয়ে লিখবো।

 

নবরাত্রিতে তৃতীয় দিনে পূজিতা হন নব দুর্গার তৃতীয় রূপ অর্থাৎ চন্দ্র ঘন্টা|পুরান অনুসারে শিব পার্বতীর বিবাহের সময় হঠাৎ তারকাসুর প্রেত পিশাচ দৈত দানব সহ আক্রমণ করে বসে তখন দেবী পার্বতী এক দশ ভুজা রুপী মঙ্গলময়ী দেবী রূপে চন্দ্র সম বিশাল শুভ ঘণ্টা বাজিয়ে সকল অশুভ শক্তি কে নিরস্ত্র করেন।দেবীর এই রূপ চন্দ্র ঘন্টা নামে পরিচিত|

 

দেবীর আবির্ভাব সম্পর্কে আরো একটি ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে যেখানে মনে করা হয় শিব

বিবাহ কালে চন্ড রূপ ধারণ করলে তাকে দেখে মেনকা সহ উপস্থিত অথিতিরা ভীত হয়ে পড়েন তখন দেবী পার্বতী শিবের এই রূপের প্রত্যুত্তরে চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রনমূর্তি দেখে শিব তার নিজের চন্ড রূপ ত্যাগ করে বিবাহের জন্যে নিজের সৌম ও শান্ত রূপে ফিরে আসেন|

 

দেবী চন্দ্রঘন্টা তৃতীয় নয়ন দ্বারা সমৃদ্ধ যা শুধুমাত্র যুদ্ধের সময় খোলে।দেবীর মস্তকে অর্ধচন্দ্র থাকে , তাই দেবীকে চন্দ্রঘণ্টা নামে ডাকা হয় । দেবীর শরীরের রং স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল । এই দেবী দশভুজা । দেবীর হাতে কমণ্ডলু , তরোয়াল , গদা , ত্রিশূল , ধনুর্বাণ , পদ্ম , জপ মালা থাকে| দেবীর বাহন সিংহ যা তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক আবার একই সঙ্গে দেবীর প্রতি সম্পূর্ণ স্মরনাগতি বা পূর্ন সমর্পনকে প্রকাশিত করে।

 

নব রাত্রির তৃতীয় দিনে দেবী চন্দ্র ঘন্টাকে মনে মনের স্মরণ করুন এবং দেবীকে প্রনাম জানিয়ে দেবীর উদ্দেশ্যে একটি প্রদীপ ঘি বা তিলের তেল দিয়ে জ্বালান এবং দেবীর কাছে প্রার্থনা করুন। সংসারের মঙ্গল হবে।

 

আগামী দিনের পর্বে দেবীর চতুর্থ রূপ নিয়ে ফিরে আসবো। নব রাত্রি উপলক্ষে চলতে থাকববে এই ধারাবাহিক আলোচনা। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।