দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ – নাগেশ্বর শিব মন্দির

118

দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ – নাগেশ্বর শিব মন্দির

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের পর্বে নাগেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে।

এই বিশেষ জ্যোতির্লিঙ্গ টির সঠিক অবস্থান নিয়ে কিছু বিতর্ক বা মতপার্থক্য রয়েছে|যদিও বর্তমানে এই শিব লিঙ্গ ও মন্দির ভারতের গুজরাটের দ্বারকায় অবস্থিত কিন্তু অনেকেই মনে করেন ভারতের উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত যোগেশ্বর শিব লিঙ্গই আসলে জ্যোতির্লিঙ্গ তবে দ্বারকার নাগেশ্বর শিব মন্দিরই জ্যোতির্লিঙ্গের মর্যাদা পায়।

 

এই জ্যোতির্লিঙ্গ সৃষ্টি নিয়ে শিব পুরানে এক সুন্দর পৌরাণিক আখ্যান আছে|এক কালে এই অঞ্চলের শাসক ছিলো দারুক নামে এক অত্যাচারি রাক্ষস|নিজের প্রাধান্য বিস্তারের জন্য সে সবার উপর খুব অত্যাচার করতো|তার রাজ্য বাস করতো সুপ্রিয় নামে এক শিব ভক্ত|একদিন দারুক তাকে বন্দী করে ও অত্যাচার শুরু করে|সুপ্রিয় ভয় না পেয়ে আরাধ্য মহাদেব কে ডাকতে থাকেন|ভক্তর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রকট হন মহাদেব ও বধ করেন রাক্ষস দারুককে|এর পর সুপ্রিয়র অনুরোধে এখানেই জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে বাস করতে সম্মত হন মহাদেব|

 

নাগেশ্বর অর্থ্যাৎ নাগেদের ঈশ্বর|দেবী পার্বতীও এই স্থানে নাগেশ্বরী রূপে বিরাজিতা|সারা বছর অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থী ভীড় করেন নাগেশ্বর মন্দিরে।জ্যোতির্লিঙ্গ ও সুন্দর শিব মন্দিরটি দর্শন করে নিজেদের ধন্য করেন।

 

অন্যান্য জ্যোতির্লিঙ্গের ন্যায় শিব রাত্রিতে ও কিছু বিশেষ তিথীতে এখানেও বিশেষ পূজা হয় ও সেই উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগম হয়|দুর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে|ভক্তদের বিশ্বাস বাবা নাগেশ্বর সকল ভক্তের মনোস্কামনা পূরণ করেন।

 

আজকের জ্যোতির্লিঙ্গ পর্ব এখানেই শেষ করে আজ বিদায় নেবো|দেখা হবে পরের পর্বে। থাকবে অন্য একটি জ্যোতির্লিঙ্গ নিয়ে শাস্ত্রীয় আলোচনা।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।