আমাদের সনাতন ধর্মে বিভিন্ন গাছকে অত্যন্ত শুভ এবং পবিত্র বলে মনে করা হয়। সেই সব গাছে বিভিন্ন দেবতার বাস বলে বিশ্বাস করা হয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাছ কেই স্বয়ং দেবী রূপে পুজো করা হয়।আজকের বাংলার কালী পর্বে আপনাদের এক এমন গাছের কথা লিখবো যে গাছে স্বয়ং মা কালী বাস করেন বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাংলা বিহার উড়িষ্যা যখন থেকে অভিভক্ত ছিলো তখন থেকেই এই গাছে দেবী কালীর বাস বলে বিশ্বাস করা হয়।বর্তমানে গাছটি অবস্থান করছে বিহারের পূর্ণিয়ায়।বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কেনাগর নামক স্থানেবহু বছর ধরে রয়েছে একটি ডুমুর গাছ। এই গাছেই মা কালীর অধিষ্ঠান বলে প্রচলিত বিশ্বাস মানুষের মনে।সেই থেকে দেবীকে গাছ কালী বা ডুমুর কালী বলেও ডাকেন অনেকে।
আজ থেকে প্রায় ছয়শো বছর আগে
স্বয়ং মা কালী নিজেই নাকি গ্রামবাসীদের স্বপ্নাদেশ দিয়ে জানিয়েছেন যে ওই গাছে তিনি বাস করেন।সেই থেকেই ডুমুর গাছের পুজো শুরু হয়।
এই ডুমুর গাছের নীচে রয়েছে মা কালীর ছবি।
বহু দূর দূর থেকেও এই গাছ দর্শন করতে মানুষ আসেন এখানে।বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ পুজো উপলক্ষে বহু মানুষের ভিড় হয়। বহু মানুষ আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে। মনোস্কামনা
পূর্ণ হওয়ার পর আবার আসে পুজো দিতে।
সব থেকে আশ্চর্য বিষয় হলো প্রচণ্ড ঝড়েও ওই গাছের কিছু হয় না। একাধিক ঝড় ঝাপটা সাইক্লোন সহ্য করে আজও কয়েকশো
বছর ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে
দেবীর বাসস্থান এই ডুমুর গাছটি।
ফিরে আসবো বাংলার কালীর পরবর্তী পর্বে। থাকবে এমন কোনো ঐতিহাসিক কালী পুজো
নিয়ে আলোচনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।