একান্নপীঠ – কুরুক্ষেত্র

160
পীঠ নির্ণয় গ্রন্থ মতে একান্ন পীঠের পঞ্চাশতম শক্তিপীঠটি অবস্থিত হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে। অন্নদা মঙ্গল এবং শিব চরিতেও এই সতী পীঠের উল্লেখ আছে।
শক্তি পীঠ কুরুক্ষেত্রকে সাবিত্রীপীঠ ও বলা হয় কারন দেবী এখানে স্বাবিত্রী রূপে বিরাজ করছেন।
দেবীর ভৈরবের নাম থানেশ্বর।পুরান মতে দেবীর ডান পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল।
এই কুরুক্ষেত্র ময়দানে মহাভারতের পান্ডব এবং কৌরব দের যুদ্ধ হয়েছিলো এবং কথিত আছে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডব এখানে এসেই দেবীর আরাধনা করেছিলেন। স্মারক হিসেবে নিজেদের ঘোড়াগুলিও দান করেন। আর সেই থেকেই এখানে কোনও কিছু মানত করার আগে ধাতব ঘোড়া দান করার রীতি শুরু হয় যা আজও চলছে।
হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলায় দ্বৈপায়ন হ্রদের মনোরম এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশে মা স্বাবিত্রীর
এই মন্দির অবস্থিত।পুরান মতে পরশুরাম ধরিত্রীকে ক্ষত্রিয় শুন্য করার পরে এই হ্রদের জলে পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন করেছিলেন।
শাস্ত্র মতে দেবী সাবিত্রী সূর্য্য কন্যা এবং তিনিই গায়েত্রী মন্ত্রের অধীস্টাত্রী দেবী। তার আশীর্বাদে বৈকুণ্ঠ লাভ হয় বলেও বিশ্বাস।
এখানে মায়ের ‘কঠোর রূপ’ বা উগ্র রূপ দেখা যায়।দেশের প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে এটি একটি। মন্দিরে ঢোকার আগে শ্বেতপাথরের পা এর একটি অবয়বও রাখা আছে।
ভক্তরা আগে সেখানে পুজো করে তারপর মন্দিরে প্রবেশ করেন।সারা বছরই এখানে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা থাকলেও কালীপুজোর তিথি ধরে এখানে হয় দেবীশক্তির আরাধনা। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, পবিত্র মনে কালিকাদেবী মায়ের কাছে যা চাওয়া হয় মা সেই মনস্কামনাই পূরণ করেন।
আজ এই শক্তি পীঠ নিয়ে এইটুকুই।ফিরে আসবো আগামী পর্বে অন্য একটি শক্তি পীঠ নিয়ে।
পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।