শিব পুরানের দশম অধ্যায়ে মহাদেব কতৃক ত্রিপুরাসুর ও তাদের ত্রিপুর ধ্বংসের উল্লেখ আছে, আজকের পর্বে সেই কথা আপনাদের বলবো, তারকাসুরের তিন পুত্র – তারকাক্ষ, কমলাক্ষ ও বিদ্যুন্মালী, তারা এক সঙ্গে ত্রিপুরাসুর বলে পরিচিত।
তিন অসুর তিনটি বিশাল ও রহস্যময় নগরীতে বাস করতেন, যাদের একটি স্বর্ণের, একটি রৌপ্যের ও একটি লৌহের। প্রথমটি থাকতো স্বর্গে, দ্বিতীয়টি অন্তরীক্ষে আর তৃতীয়টি পৃথিবীতে। তিন নগরীতে সমস্ত প্রকারের অভিষ্ট বস্তু ছিল।একত্রে এই তিন নগরীর অধিপতি অসুর ত্রয়ীই হলো ত্রিপুরাসুর|
ব্রহ্মার বরে দেব দানব যক্ষ রাক্ষস কেউই এঁদের বধ করতে পারতেন না। অস্ত্রশস্ত্র বা ব্রহ্মশাপেও এই পুরীগুলির কোনও ক্ষতি করা যেত না। শুধু সহস্র বছর বিচরণ করার পর এই তিনটি পুরি যখন এক হয়ে যাবে তখন যে দেবশ্রেষ্ঠ এক বাণে এই ত্রিপুর ভেদ করতে পারবেন, তিনিই ত্রিপাসুরদের বধ করবেন এই ছিল ব্রহ্মার বর।
এই বর পাবার পর দেবগণ কর্তৃক পূর্বে পরাজিত অসংখ্য অসুর এই তিন পুরীতে আশ্রয় নিতে শুরু করল। আর এই তিন অসুর তাদের রাজা হয়ে ইচ্ছানুসারে বিচরণ করে সকলকে নানা ভাবে অত্যাচার করতে লাগলো। তখন ব্রহ্মার উপদেশে তিন পুর একত্র হবার আগে দেবতারা মহাদেবকে ত্রিপুরাসুর বধ করতে অনুরোধ করলেন এবং তাঁদের অর্ধ তেজ দেবাদিদেব কে দিলেন।
সেই তেজে মহাদেব আরও বলিয়ান হলেন। তারপর সেই তিন পুর একত্র হতেই, মহাদেব বিশ্বকর্মার তৈরী সোনার রথে চড়ে বিখ্যাত পাশুপত অস্ত্র নিক্ষেপ করে ত্রিপুরাসুরকে বধ করেন ও তাদের ত্রিপুর ধবংস করলেন|
পুরাণ মতে, কার্তিক পূর্ণিমার দিনে ত্রিপুরাসুর নামক দৈত্যের বধ করেন শিব। এর পরই শিবকে ত্রিপুরারী নামে ভূষিত করেন বিষ্ণু।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে এমন আরো অনেক পৌরাণিক ঘটনা নিয়ে|চলবে এই শিব সংক্রান্ত ধারাবাহিক আলোচনা|পড়তে থাকুন|যারা আসন্ন শিব রাত্রি যুক্ত অমাবস্যায় গ্রহ দোষ খণ্ডন করাতে চান তারা অগ্রিম যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|