মন্দির রহস্য – দন্তুরা দেবীর মূর্তির রহস্য

407

সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম কেতুগ্রামের অট্টহাস। পুরাণে বলা হয়, সতীর অধর অর্থাৎ ঠোঁটের নিম্নাংশ এই জায়গায় পড়েছিল। দেবী এখানে অধরেশ্বরী নামে পূজিতা হন। অট্টহাস মন্দিরের কথা আপনাদের আগে বলেছি এই মন্দিরেই ছিলো একটি প্রাচীন শিলামূর্তি যাকে দন্তুরা দেবীর মূর্তি বলা হয়|সেই মূর্তির রহস্য নিয়ে লিখবো আজ|বর্তমানে দন্তুরা চামুণ্ডার সেই মূর্তির প্রতিরূপরয়েছে মন্দিরে,আসল মূর্তিটি প্রায় ১০০ বছর আগে অট্টহাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেটি সংরক্ষিত রয়েছে অন্য স্থানে|দন্তুরা দেবীর মূর্তি বড়োই অদ্ভুত ও বিচিত্র|দেবীর কঙ্কালসার চেহারা। ফুটে উঠেছে বুকের পাঁজর। কান দুটি শরীরের তুলনায় বেশ বড়। বিস্ফারিত গোলাকার চোখ। আঁচড়ানো চুল পিঠের উপর পড়েছে। মুখগহ্বর থেকে বেরিয়ে রয়েছে কুকুরের মতো দুটি তীক্ষ্ণ দাঁত। মুখে হিংস্রতার ছাপ। বাম হাত মাটিতে ভর দিয়ে আর ডান হাত হাঁটুতে রেখে অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছেন দেবী। পাথরের উপর খোদাই করা হয়েছে এই সোওয়া এক ফুটের দন্তুরা চামুণ্ডার মূর্তি। শোনা যায় ওই মূর্তির চোখের ওপর কেউ বেশিক্ষণ চোখ রাখতে পারতেন না। এই কারণে কেতুগ্রামের অট্টহাসে আজও প্রকাশ্যে আনা হয় না দেবীর আসল রূপ। অন্তরালেই থাকেন অট্টহাসের দেবী দন্তুরা চামুণ্ডা। অট্টহাসে দেবীর মূল মূর্তিটি দেবীর অষ্টচামুণ্ডা রূপের অন্যতম দন্তুরা চামুণ্ডা। এই মূর্তি ভারতবর্ষে সচরাচর দেখা যায় না। যার বয়স প্রায় সাড়ে তিনহাজার বছরেরও বেশি। ১৯১৫–১৬ সাল নাগাদ ঐতিহাসিক ও গবেষকদের উদ্যোগেদন্তুরা চামুণ্ডার মূর্তিটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সংগ্রহশালায়। সেই থেকে সংগ্রহশালায় রয়েছে অট্টহাসের দন্তুরা চামুণ্ডা। তারপর থেকে দন্তুরা চামুণ্ডার একটি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে মন্দিরে পুজো করা হচ্ছে। নির্জন জঙ্গলের মাঝে নিশুতি রাতে অট্টহাসের চামুণ্ডা পুজোয় রোমাঞ্চ উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থী ভিড় জমান। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এখনও রাতের বেলায় এড়িয়ে চলেন অট্টহাস মন্দির।কারন শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে মিশে আছে এক ধরনের ভীতি ও অনুগত্য যার কেন্দ্রে আছে দন্তুরা দেবীর রহস্যময় মূর্তি|যথা সময়ে ফিরে আসবো পরের পর্বে অন্য কোনো মন্দির রহস্য নিয়ে|থাকবে এরকম বহু রহস্যময় ও অলৌকিক ঘটনারর উল্লেখ|পড়তে থাকুন|আগামী 22 ডিসেম্বর বকুল অমাবস্যায় শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকারের জন্য যোগাযোগ করুনপোস্টে উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|