ভারতের সাধক – তোতাপুরী

2916

আজ ভারতের সাধক দের নিয়ে এই ধারাবাহিক লেখনীতে আজ লিখবো ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের দীক্ষা গুরু তোতাপুরী মহারাজকে নিয়ে, জানাবো তার অলৌকিক জীবন কাহিনী|তোতাপুরীর সন্ন্যাস
পূর্ব জীবন,তার জন্ম কাল জন্মস্থান ও পরিবার সম্পর্কে সঠিক তথ্য কমই পাওয়া যায় তায় সেই দিকে না গিয়ে তার অলৌকিক ব্যাক্তিত্ব ও রহস্যময় সন্ন্যাস জীবনর কথাই বলবো|

তোতাপুরী লম্বা-চওড়া সুদীর্ঘ পুরুষ ছিলেন।দীর্ঘ সময় ধ্যান ও যোগ সাধনার মাধ্যমে তিনি সাধনার অত্যন্ত উচ্ছ পর্যায়ে আরোহন করেছিলেন, পুরী সম্প্রদায় ভুক্ত এই নাগা সন্ন্যাসী ছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণর দীক্ষা গুরু|তোতাপুরী তিন দিনের বেশি কোথাও থাকতেননা কিন্তু ব্যতিক্রম হয়েছিলো দক্ষিনেশ্বর এসে|এখানে বেশ দীর্ঘ সময় তিনি কাটিয়েছিলেন রামকৃষ্ণর সান্নিধ্যে|গুরুর নাম গ্রহণ করা শাস্ত্রমতে বারণ তাই শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ‘ল্যাংটা’ বা ‘ন্যাংটা’ বলে উল্লেখ করতেন|
গঙ্গার ধারে পঞ্চবটি উদ্যানে ধুনী জ্বালিয়ে তিনি সাধনা করতেন এখানেই তার কাছে দীক্ষা নিয়ে নিয়ে ছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ আবার আশ্চর্য জনক ভাবে ঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতা ও তার অগাধ জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে গুরু তোতাপুরী বিদায় নেয়ার আগে শিষ্য রামকৃষ্ণর কাছে দীক্ষা নিয়ে যান|

তোতাপুরীর মতে সকলই ছিল মায়া। দেব-দেবীর মূর্তিপূজাকেও তিনি উপহাস করতেন। বিশ্বাস করতেন এক ও অদ্বিতীয় ব্রহ্মে কিন্তু রামকৃষ্ণ তার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেন, এক্ষেত্রে এক অলৌকিক ঘটনার ও উল্লেখ পাওয়া যায়, একবার দক্ষিনেশ্বরে থাকা কালীন পেটের যন্ত্রনায় কাবু তোতাপুরী গভীর রাতে গঙ্গায় প্রান বিসর্জন দিতে গিয়ে দেখলেন কোথাও ডুবজল নেই, হেঁটেই পার হওয়া যায় গঙ্গা, তিনি উপলব্ধি করলেন ভবতারিনীর লীলা, সাক্ষাৎ করলেন স্বয়ং মা জগদম্বাকে, শরীরের সব যন্ত্রনা মুহূর্তে গায়েব হয়ে গেলো|
শিষ্য কে বললেন সব কথা মেনে নিলেন মায়ের উপস্থিতি|মেনে নিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠত্ব পাল্টা দীক্ষাও নিলেন তার কাছে,গুরুকে পাল্টা দীক্ষা দানের এই ঘটনা ভারতের আধ্যাত্মিক জগতে বিরলতম|

আজকের পর্ব এই মহান সাধককে প্রনাম জানিয়ে শেষ করলাম, পড়তে থাকুন আবার আগামী পর্বে দেখা হবে আর যারা ফোন করতে চান অনলাইন কন্সালটেন্সির জন্যে বা অন্য কোনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজে তাদের জন্যে পোস্টে নাম্বার উল্লেখ করাই আছে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|