শক্তি পীঠ – কাল মাধব

38

শক্তি পীঠ – কাল মাধব

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

একান্ন পীঠের অন্যতম একটি শক্তি পীঠ হলো কালমাধব সতীপীঠ।পুরান অনুসারে সতীর বাম নিতম্ব পড়েছিলো এই স্থানে।কালমাধব মন্দিরে দেবী কালীরূপে পূজিতা হন এবং এই শক্তি পীঠে দেবীর ভৈরব হলেন অসিতাঙ্গ।ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অমরকণ্টকে অবস্থিত কালমাধব শক্তিপীঠ।

 

এই শক্তি পীঠ মন্দিরের ইতিহাস অতি প্রাচীন।

প্রাচীন ভারতের এক সূর্য বংশীয় সম্রাট ছিলেন রাজা মান্ধাতা । আজ থেকে আনুমানিক ৬০০০ বছর আগে এই সূর্যবংশীয় সম্রাট শোন নদীর তীরে অমরকন্টকে এই কালমাধব মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ে শ্বেত শুভ্র পাথরের তৈরি করা হয় মন্দিরটি।আজও এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং নির্মাণ শৈলী দর্শণার্থীদের মুগ্ধ করে।

 

মন্দিরের চারপাশে রয়েছে শ্বেত পাথর দিয়ে বাঁধানো পুকুর এবং মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শোন নদী।চার দিকে বিস্তৃত পার্বত্য ভূমি যা এখানকার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

 

সেই প্রাচীনকাল থেকে এই শক্তিপীঠে দেবী

কালীরই পুজো চলে এসেছে । তবে পরবর্তীতে এখানে দেবীকে নর্মদা মা রূপে পুজো শুরু হয় দেবীর বিগ্রহের দুই পাশে জয়া। চামুণ্ডার বিধি মতে এখানে পুজো হয়ে থাকে। পূজারীরা সেই হাজার হাজার বছর থেকে বংশ পরম্পরায় পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন।

 

যদিও প্রায় সারা বছর ধরেই এখানে অসংখ্য ভক্তদের সমাগম দেখা যায়। তবে দুর্গাপূজা বা নবরাত্রীর সময় এই মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় এবং ভিড় হয় অনেক বেশি।

 

আবার গৌরিতন্ত্র মতে এই মহাপীঠ উড়িষ্যায়

অবস্থিত। উড়িষ্যার রাজাদের কুল দেবী হলেন শ্যামা কালী এবং কাল মাধবের কালী একই এবং উড়িষ্যার রাজারা স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে শ্যামা কালীর মন্দির নির্মাণ করেন।

 

প্রকৃত স্থান এবং পটভূমি নিয়ে যাই বিতর্ক থাক শক্তি পীঠ কাল মাধব অন্যতম শক্তি পীঠ রূপে শাস্ত্র সিদ্ধ।

 

আবার ফিরে আসবো আগামী পর্বে অন্য

একটি শক্তি পীঠের ইতিহাস ও পৌরাণিক ব্যাখ্যা নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।