বাংলার কালী – বগুড়ার ডাকাত কালী

39

অবিভক্ত বাংলার বগুড়ার গ্রামে ছিলো এক প্রাচীন কালী মন্দির যে মন্দিরের পুজোয় এক অদ্ভুত রীতি পালন করা হতো। সেই অদ্ভুত প্রাচীন প্রথা নিয়ে পরে লিখবো আগে এই মন্দির এবং কালী পুজোর ইতিহাস নিয়ে বলে নিই।

 

প্রায় চরশো বছর আগে দুর্গম এই অঞ্চলে ছিলো হিংস্র পশু, ডাকাত এবং অশরীরী আত্মা দের বাস। এই কালী মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন সাধারণ মানুষরা তাদের বিশ্বাস ছিলো এই মা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। আবার ডাকাতরা এখানে পুজো দিয়ে অমাবস্যার রাতে ডাকাতি করতে বেরোতো।

 

শোনা যায় মধুসুদন ভাদুরী নামে এক ব্যাক্তি স্বপ্নে দেবীর আদেশ পেয়ে এই পূজা স্থাপনা করেন এবং তার নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মধু গঞ্জ এবং এই পুজোর মধুগঞ্জেশ্বরী কালী পূজা নামকরণ হয়।পরবর্তীতে মধুসুদন ভাদুরী তৎকালীন জমিদার রমন বিহারী সরকারকে পূজা-অর্চনা ও পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করেন।

 

এই কালী পুজোর অদ্ভুত যে ঐতিহ্য রয়েছে তা হলো পাঠা লুট- বলিকৃত পশু লুটের উদ্দেশ্যে লুটকারীদের মাঝে ছুঁড়ে ফেলা হয়, শক্তি খাটিয়ে নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করলেই সেই বলী প্রদত্ত পশু তার। আরেকটি প্রথা হলো থান লুট।

পূজার স্থানে বা প্রতিমার সামনে পূজাকৃত বা উৎসর্গ করা বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ সাজানো থাকে যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর যার যে প্রসাদ পছন্দ তাই সেটা নিতে পারবে।

 

বর্তমানে এই পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অপূর্ব

এক নজীর কারন এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোয় অংশ গ্রহণ করেন সমান আস্থা এবং উৎসাহ নিয়ে।

 

 

এমন বহু প্রাচীন কালী মন্দির ও কালী পুজো হয়

সারা বাংলা জুড়ে। আগামী পর্বে ফিরে আসবো অন্য এক কালী পুজোর ইতিহাস নিয়ে।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।