দক্ষিন ভারতে পন্ডিতজি – মহাবলীপুরম

471

দক্ষিণ ভারত ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই মহাবলীপুরম|মহাবলীপুরমে দেখার জায়গা তো অনেক আছে কারণ এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানের মূল আকর্ষণ সপ্তরথ মন্দির ও সমুদ্রতীরের শিব মন্দির। 

মহাবলীপুরমের আরেকটি আকর্ষণ হলো একটি অদ্ভুত হেলানো পাথর। এই পাথর খুবই বিপজ্জনক ভাবে একটি বিন্দুতে আটকে রয়েছে। স্বয়ং সুনামিও এটিকে নড়াতে পারেনি। হয়তো এর পেছনে আছে কোনো জ্যামিতিক খেলা যা আজও রহস্য|

সে সব নিয়ে বলবো তবে আগে বলে রাখি কেনো এই মন্দির গুলি এতো গুরুত্বপূর্ণ|আসলে শুধু ধর্মীয় কারন নয় এগুলি ভারতের হাজার বছরের শিল্প কলা ও ভাস্কর্যকে বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে|শ্রেষ্ঠ শিল্প কর্ম গুলি মন্দিরের গায়েই ফুটিয়ে তলা হতো সেকালে|এগুলি আমায় বরাবর টানে|

এখানকার মন্দির গুলি সাতের দশকের স্থাপত্য যা পল্লব রাজাদের সময়কাল। পাথর কেটে রথের আকারে বানানো মন্দিরের গায়ে মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনা খোদাই করা আছে। সপ্তরথ যথাক্রমে নকুল,সহদেব, ভীম, অর্জুন, দ্রৌপদী, ধর্মরাজ ও গণেশ নামে নামাঙ্কিত। 

আলাদা করে বলা যায় সৈকত সংলগ্ন শিব মন্দিরের কথা|শিব মন্দিরের ভেতরটাও খুব সুন্দর ও সেখান থেকে সমুদ্রর দৃশ্যও অসাধারণ। এই মন্দিরও পাথর কেটে বানানো।

সমুদ্রসৈকতের সাতটি মন্দিরের জন্য মহাবলিপুরমকে বলা হত ‘সাত প্যাগোডার দেশ’। ছ’টি সমুদ্রগর্ভে। অক্ষত রয়েছে মাত্র একটি|

অপুর ওই সব শিল্প নিদর্শন দেখে সমুদ্রের তীর ধরে হেঁটে গেলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়ে|মনে হয়ে কত কত ইতিহাস কত ঘটনার সাক্ষী এই সমুদ্র|আর মনে হয়ে সেই সব অখ্যাত শিল্পীদের কথা যারা নাম যশ খ্যাতি কিছুই হয়তো পায়নি তবে তাদের সৃষ্টি গুলো রয়ে গেছে যা পৃথিবীর সব আধুনিক শিল্পীর ঈর্ষার কারন হতে পারে|

আবার লিখবো,এখনো অনেক পথ বাকি অনেক অভিজ্ঞতা ও ভাগ করে নেয়ার আছে |ভালো থাকুন|পড়তে থাকুন|ধন্যবাদ|