আমাদের বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে সবথেকে বেশি ভীতি এবং কৌতূহল দেখা যায় যে গ্রহটিকে নিয়ে তা হলো গ্রহরাজ শনি গ্রহ|গ্রহ রাজ শনিদেব যেমন একটি গ্রহ তেমনই আবার একটি পৌরাণিক চরিত্র|আসলে শনিদেব কে নিয়ে এতো ভয় বা সংশয়ের কোনো কারন নেই কারন জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে তিনি কর্মফল প্রদান করেন মাত্র, এমনি এমনি কারুর অনিষ্ট করেননা|জ্যোতিষ নিয়ে আজ অবশ্য আলোচনা করছিনা আজ শনিদেবকে কেন্দ্র করে ঘটা এক পৌরাণিক ঘটনার কথা বলবো যেখানে রয়েছেন লংকাঅধিপতি রাবন এবং রুদ্রঅবতার হুনুমান|
রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল|রাবন চেয়েছিলেন মেঘনাথের জন্মের সময় সব গ্রহরা তার অনুকূলে থাকবেন|এমন ভাবে তারা অবস্থান করবেন যাতে মেঘনাথ হবেন অমর ওঅপরাজেয়|
নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে রাবন সব গ্রহদের বন্দী করলেন এবং একটি নিদ্দিষ্ট ভাবে অবস্থান করতে বাধ্য করলেন কিন্তু চতুর শনিদেব চক্রান্ত করলেন এবং নিজের পা ব্যবহার করে তার নিদ্দিষ্ট ভাবের সীমানা অতিক্রম করে অন্য রাশিতে নিজের সঞ্চার ঘটালেন|ফলে মেঘনাথের জন্ম কালে হিসেব উল্টো পাল্টা হয়ে গেলো এবং শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয়নি|
এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান এবং শনিদেব কে আঘাত করে বসলেন| রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে|পরবর্তীতে হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে মুক্ত করেন। কৃতজ্ঞতা বসত শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন|
তবে এর পরেও একাধিক বার শনিদেব ও হনুমান মুখোমুখি হয়েছেন|সে নিয়েও আছে রোমাঞ্চকর পৌরাণিক কাহিনী|সেই সব ঘটনা বলবো যথা সময়ে, যথা স্থানে|আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি|টিভির অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমার আধ্যাত্মিক লেখা গুলি পড়ুন ও জানান কেমন লাগছে|যারা আমার কাছে জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে আসতে চান তারা উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে জেনে নেবেন আমাকে কবে কখন ও কোথায় পাবেন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|