শক্তিপীঠ – মহামায়া

27

শক্তিপীঠ – মহামায়া

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

শাস্ত্র মতে কাশ্মীরের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে দেবী সতীর গলা বা কণ্ঠ পড়েছিলো। এই স্থানটি শক্তি পীঠের অন্তর্গত। এখানে দেবী ভগবতী মহামায়া রূপে পূজিতা হন এবং ভৈরব ত্রিসন্ধ্যেশ্বর।

 

শক্তিপীঠের সঠিক স্থান নিয়ে মতপার্থক্য আছে। একটি মত অনুসারে অমরনাথ গুহায় শক্তিপীঠ অবস্থিত। কালীকে পুরানে বা কুলার্ণব তন্ত্রে নাম পাওয়া যায়না তবে কুব্জিকা তন্ত্রের সারদা পীঠের উল্লেখ আছে।

 

সারদা পীঠ, অমরনাথ এবং ক্ষীর ভবানী মন্দিরকে একত্রে শক্তি পীঠের মর্যাদা দেয়া হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় সারদা পীঠকে।

পরবর্তীতে পুরান মতে ঋষি পুলস্ত বহু তপস্যা করে এই স্থানে দেবীকে আহ্বান করেন এবং এই পীঠকে জাগ্রত করেন। মাতঙ্গ মুনির পুত্র শান্ডিল্যকে দেবী এই স্থানে দর্শন দেন।

 

শঙ্করাচার্য্য এই শক্তি পীঠে এসেছিলেন এবং দীর্ঘকাল অবস্থান করেন। বর্তমান শক্তিপীঠ মন্দিরটি প্রায় দু হাজার বছরের পুরোনো। দেবী রূপে রয়েছে সিঁদুর মাখানো শিলা খন্ড যা দেবীর প্রস্তুরীভূত অঙ্গ রূপে প্রতিষ্ঠিত।

 

প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে দেবী জাগ্রতা হন এবং সেই সময় বিশেষ পুজো পাঠের আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে বহু তীর্থ যাত্রী এবং ভক্তের আগমন ঘটে।

 

পর্যটক আলবিরুনির লেখায় এই শক্তি পীঠ, শিলা খন্ড আকারে দেবী এবং গোপন স্থানে দেবী সরস্বতীর দারু নির্মিত অপূর্ব মূর্তির উল্লেখ পাওয়া যায়।

 

ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তিপীঠ নিয়ে আগামী পর্বে। চলতে থাকবে ধারাবাহিক লেখা। পড়তে থাকুন। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।