শক্তি পীঠ – ফুল্লরা

42

শক্তি পীঠ – ফুল্লরা

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় যে কটি সতীপীঠ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম লাভপুরের ফুল্লরা মন্দির । পঞ্চ সতীপীঠের জেলা বীরভূমের অন্যতম সতী পীঠ এটি।

 

তন্ত্রচূড়ামণিতে একান্ন পীঠের ৪৯ তম পীঠ লাভপুরের ফুল্লরা।এই স্থানে দেবীর ঠোঁট পড়েছিলো বলে বিভিন্ন শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।

 

বহুকাল পূর্বে নন্দগিরি মহারাজ কেদারনাথ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়ে লাভপুরে এসেছিলেন। তখন এই এলাকা গভীর জঙ্গলে ঢাকা। সেখানেই জঙ্গলের ভিতরে খুঁজে পেয়েছিলেন প্রাচীন শিলাখণ্ড।সেই শিলা খন্ড দেব সতীর প্রস্তুরীভূত দেহ খন্ড রূপে স্থাপন করে পুজো শুরু হয়।তারপর সেখানেই তৈরি হয় দেবীর মন্দির।পরবর্তী কালে ফুল্লরা দেবীর মন্দির প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন ‘কৃষ্ণানন্দ গিরি’ এবং তিনি পুজোর ভার গ্রহন করেন।

 

একসময় মন্দিরের চূড়ায়, ‘স্বর্ণকলস’ শোভা পেত তবে বর্তমানে তা আর দেখা যায়না। বর্তমানে মন্দির চত্বর খুব প্রশস্ত নয়। গর্ভগৃহের সামনে রয়েছে নাট মন্দির। রয়েছে হাড়ি কাঠ। প্রতি বছর মাঘ পূর্ণিমায় ত্রয়োদশী তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো অর্চনা হয়। এখানে প্রত্যেকদিন মায়ের ভোগে থাকে বিশেষ বৈচিত্র মাছ, মাংস ডাল দুরকম সবজি টক, পাঁচ রকম ভাজা ও অন্যান্য সামগ্রী থাকে।মা ফুল্লরার ভোগ দর্শন এবং ভোগ গ্রহন অন্যতম সৌভাগ্যর বিষয় বলে মনে করা হয়।

 

মন্দির সংলগ্ন একটি পুকুর ঘিরে অনেক জনশ্রুতি আছে। কিংবদন্তি অনুসারে শ্রী রামের দুর্গাপূজার সময় স্বয়ং বজরংবলী এই পুকুর থেকেই ১০৮টি পদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন।

 

ফিরে আসবো পরবর্তী শক্তিপিঠের কথা নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।