শক্তি পীঠ – মঙ্গলচন্ডী

33

শক্তি পীঠ – মঙ্গলচন্ডী

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

পুরান অনুসারে অজয় নদীর পাড়ে দেবীর ডান কব্জি পতিত হয়েছিল।শক্তি পীঠে দেবীর নাম মঙ্গলচন্ডী আর দেবীর ভৈরব কপিলাম্বর।আজকের শক্তি পীঠ পর্বে লিখবো বর্ধমান তথা বাংলার অন্যতম জাগ্রত শক্তিপীঠ মঙ্গলচন্ডী নিয়ে।

 

প্রাচীন মঙ্গল চন্ডীর মূর্তিটি ছিলো পাল যুগের।পরবর্তীতে র্ভগৃহের মধ্যেই মা মঙ্গলচন্ডীর ছোট কালো পাথরের দশভূজা মূর্তি বসানো হয়।

ভৈরবের মূর্তির সামনে নন্দীর কালো পাথরের একটি ছোট্ট মূর্তি আছে। ভৈরবের বাঁদিকে রয়েছে বুদ্ধমূর্তি। তাই স্থানটি একাধারে শাক্ত, শৈব্য এবং বৌদ্ধদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।

 

কথিক আছে রাজা বিক্রমাদিত্যর কুল দেবী ছিলেন মা মঙ্গলচন্ডী। সপ্নাদেশ দিয়ে দেবী বিক্রমাদিত্যকে বলেন গভীর জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে মন্দিরে স্থাপিত করে পুজো করতে। বিক্রমাদিত্য জ্যোতি রূপে দেবীর উপস্থিতি দেখতে পান এবং দেবীকে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে এনে স্থাপন করেন।

 

প্রচলিত লোক কাহিনী অনুসারে এক ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে গিয়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়ে যান তারপর তার স্ত্রী খুল্লনা মঙ্গল চন্ডী কে পুজোয় সন্তুষ্ট করে তার স্বামীর ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করেন।অলৌকিক ভাবে কিছুদিন পর ওই ব্যবসায়ী ফিরে আসেন সুস্থ শরীরে। তারপর দেবীর মহিমা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।সেই থেকে মঙ্গলচন্ডীর পূজা হয়ে আসছে অজয় নদীর পাড়ে অবস্থিত

এই মন্দিরে।

 

বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দেবীর পুজো করা হয়। এছাড়াও সারা বছর ধরে এখানে দুর্গাপূজা, কালীপূজা সবই হয়।

 

ফিরে আসবো আগামী পর্বে। নতুন একটি

শক্তি পীঠের কথা নিয়ে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।