শক্তি পীঠ – অট্টহাস

23

শক্তি পীঠ – অট্টহাস

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

আজকের একান্ন পীঠ পর্বে লিখবো বর্ধমানে অবস্থিত অট্টহাস শক্তিপীঠ নিয়ে। শাস্ত্র মতে এখানে সতীর অধঃওষ্ঠ বা নিচের ঠোঁট পড়েছিল এখানে। সেই থেকেই নাম হয় অট্টহাস।

 

বহু প্রাচীন এই অট্টহাস মন্দির। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল নির্দিষ্ট ভাবে জানা না

গেলেও ১৩৪২ বঙ্গাব্দে এই মন্দির

সংস্কার করা হয়।ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই স্থান একসময় ছিলো খুবই দুর্গম।সেই সময় বাংলার ডাকাতরা এখানে পুজো করত বলে শোনা যায়। তখন এই মন্দিরে প্রায়ই বলী দেয়া হত বলেও শোনা যায়। সেই ডাকাতরা আজ আর নেই। নেই সেই সব নৃশংস রীতি তবে আজও তন্ত্র মতে নিষ্ঠা সকারে পুজো হয়।আজও রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন।

 

দেবী এখানে চামুণ্ডা রূপে পূজিতা হন।

বাম হাত মাটিতে ভর দিয়ে আর ডান হাত হাঁটুতে রেখে অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছেন দেবী। পাথরের উপর খোদাই করা হয়েছে এই সোওয়া এক ফুটের দন্তুরা চামুণ্ডার মূর্তি।কোনো এক অজ্ঞাত কারণে

অট্টহাসে কখনো প্রকাশ্যে আনা হয় না দেবীর আসল রূপ। অন্তরালেই থাকেন অট্টহাসের দেবী দন্তুরা চামুণ্ডা। মূর্তির একটি ছবি মহিষমর্দিনী মূর্তির পাশে রেখে পুজো করা হয়।মন্দিরর গর্ভগৃহ খুবই প্রাচীন। গর্ভগৃহে মায়ের প্রধান শিলা ভূগর্ভের কয়েক হাত নিচে অবস্থান করছে।

 

 

বিশেষ বিশেষ তিথি এবং প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ পুজো হয়। শাস্ত্র মতে হোম যজ্ঞ এবং ভোগ বিতরণ হয়।এছাড়াও সারাবছরই এখানে কমবেশি ভিড় থাকে ভক্তদের।

 

ফিরে আসবো আগামী পর্বে শক্তি পীঠের পরবর্তী পীঠ নিয়ে লেখনীতে।পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।