রাসপূর্ণিমার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
আজ সনাতন ধর্মের তথা সারা বিশ্বের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস পূর্ণিমা বা রাস উৎসব। আক্ষরিক অর্থে রাস শব্দের আরেক অর্থ অনেকের সঙ্গে একসঙ্গে আনন্দঘন নৃত্যবিশেষ যদিও রাস শব্দর উৎপত্তি হয়েছেন ‘ রস’ শব্দ থেকে, এখানে রস মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম বা ভক্তি রস।
শ্রীমদ্ভাগবতে একটি বিশেষ অংশ হল রাসলীলা।
শাস্ত্র মতে রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান কৃষ্ণ কার্তিক মাসের এই পূর্ণিমাতেই বৃন্দাবনে রাধা-সহ সখীদের মেতেছিলেন রাসলীলায়, সেই তিথিকেই পালন করা হয়, রাস পূর্ণিমা রূপে।বাংলায় চৈতন্যদেব রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসবের সূচনা করেছিলেন নবদ্বীপে
ভাবার্থ বা রাসের অন্তর্নিহিত অর্থ অনুসারে ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস, গোপিনী দের সঙ্গে শ্রী কৃষ্ণর এই লীলা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বৃন্দাবনে, গোপিনীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো কবে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে, তাদের ডাক আসবে, অবশেষে এই পূর্ণিমা তিথিতে কৃষ্ণ তাদের সেই আশা পূর্ণ করেন রাস নৃত্যর মাধ্যমে, একদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই উৎসব ভক্ত ও ভগবানের মিলন উৎসব|
আপনাদের সবাইকে জানাই রাস
পূর্ণিমার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন|ফিরে আসবো ধারাবাহিক কালী কথা নিয়ে আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|
